পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চায় । মোদি সরকার

 

 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশের ভাষণ দেন।


ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আনন্দে মাতোয়ারা পুরো ভারতবর্ষ। মঙ্গলবার ৭৭ বছরে পা দিয়েছে ভারতের স্বাধীনতা। প্রতি বারের মতো এবারও দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন চলছে নানা অনুষ্ঠানের  মধ্য দিয়ে। লোকসভা ভোটের আগে স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার বিষয়ে স্পষ্ট আশাবাদী তিনি। প্রত্যয়ের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ঘোষণা দেন, আগামী বছর আবার এই লালকেল্লায় তিনি বক্তৃতা দিতে আসবেন। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা, সাফল্য, উন্নয়নের কথা তুলে ধরবেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কথা দিচ্ছি, পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের তিন নম্বর বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে অন্যতম হবে ভারত। ২০১৪ সালে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলাম।বিভিন্ন  পারফর্ম, মাধ্যমে সেই প্রতিশ্রুতিকে বদলে দিয়েছি। আগামী বছরের ১৫ আগস্টের দিন দেশের সাফল্য, আপনাদের সামর্থ্য ও উন্নতির কথা বলতে আবার এই লালকেল্লায় আসব। 


আরো পড়ুন - মুচলেকায় ছাড়া পেলেন বাংলাদেশের নারী এমপি


২০২৪ সালের নির্বাচনের হালকা প্রচার করতে চাইলেন তিনি। স্পষ্ট বোঝাতে চাইলেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে মোদির দল। আবার ক্ষমতায় আসতে চায় এনডিএ।


প্রসঙ্গত, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লার বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । দেশের মানুষকে সরকারের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ফিরিস্তি দেওয়া বহুদিনের রীতি। অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিং প্রত্যেকেই তা করেছেন। কিন্তু এদিন মোদীর বক্তব্যে দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বারবারই সামনে এসেছে। 


কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ইঙ্গিত করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, পরিবারতন্ত্র ও তোষণের রাজনীতির জন্য আমাদের দেশ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ কারণেই ভারতের উন্নতি বাধাগ্রস্থ হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে একটি পরিবারের হাতে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে পরিবারতন্ত্র। তাদের একটাই মন্ত্র- পরিবারের উন্নতির জন্যই রাজনীতি।


তিনি বলেন, ভাই-ভাইপোর  রাজনীতি করে পরিবারতন্ত্রকে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 


ভাষনে মনিপুরের কথাও বলেন তিনি। । লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মণিপুর উত্তপ্ত। মা-বোনদের সম্মানহানি হয়েছে। তবে দেশ মণিপুরের সঙ্গে আছে। ধীরে ধীরে সেখানে শান্তি ফিরছে। আমাদের বৈচিত্রই আমাদের শক্তি। 


‘রাইজিং ইন্ডিয়া’র বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুনিয়ায় নতুন মোড় এসেছিল। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে একইভাবে কৌশলগত দিক থেকে শক্তির নতুন ভারসাম্য তৈরি হয়েছে বিশ্বে।






#ভারতেরস্বাধিনতাদিবষ #ভারত #লালকেল্লা #নরেন্দ্রমোদি #প্রতিভানিউজ


Post a Comment

Previous Post Next Post