কিশোগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বাক্সে মিলেছে রেকর্ড পরিমান টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ বৈদেশিক মুদ্রা। ৩ মাস ১৩ দিন পর শনিবার সকালে খোলা হয়েছে মসজিদের ৮ টি দান বাক্স। আর এ থেকে মেলে ২৩ বস্তা টাকা। গণনা শেষ হয় রাত ১০ টায়। দিনভর গণনা করে এ থেকে মেলে ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। আর এটা ছিল এ যাবত কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এছাড়াও দান বাক্স থেকে প্রচুর পরিমান স্বর্ণ ও বিদেশী মুদ্রাও পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন - ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলের মূল্য নির্ধারন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কিশোগঞ্জ জেলা প্রসাশকের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল থেকে রুপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা সহ ২ শতাধিক লোক দিনব্যপি গননা শেষ করে রাত দশটার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
এর আগে রমজানের কারনে চার মাস পর গত ৬মে দানবাক্স খুলে মিলেছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা সহ বিপুল পরিমান স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা। গত বারের চেয়ে এবার ১৯ লাখ ১ হাজার ছয়শত চত্রিশ টাকা বেশি পাওয়া গেছে। পাগলা মসজিদের এই টাকা দিয়ে শতকোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও দরিদ্রদের জটিল রোগের চিকিৎসায় অনুদান দেয়া হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় পাগলা মসজিদটি অবস্থিত। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। মসজিদকে কেন্দ্র করে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। এই মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয় এ ধরনের বিশ্বাস তেকেই দেশ বিদেশের বিভিন্ন ধর্মের লোক এখানে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা দান করে থাকেন। অনেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে গভীর রাতে এসে দান করে থাকেন।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান প্রায় পাঁচশত বছর আগে বাংলার বারো ভুঁইয়ার অন্যতম ঈশা খানের আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিলকদর পাগলা নরসুন্দা নদীর তীরে বসে নামাজ আদায় করতেন। তিনি মারা গেলে পরবর্তীতে তার ভক্তরা সেখানে এই মসজিদটি নির্মান করেন। জিলকদর পাগলার নাম অনুসারেই মসজিদটির নামকরন করা হয় “পাগলা মসজিদ ’’ ।
#পাগলামসজিদ #কিশোরগঞ্জ #রেকর্ড #বাংলাদেশেরখবর #JMNEWS