সেলফি নিয়ে বক্তব্যের প্রতিউত্তর দিলেন। ওবায়দুল কাদের

 



সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি নিয়ে মির্জা ফকরুল যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা কোন শুভবোধ সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে জাতি আশা করে না। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 


আরো পড়ুন - বাংলাদেশকে হারিয়ে শ্রীলংকার রেকর্ড।


আজ  (১১ সেপ্টেম্বর) রোজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। ফকরুলের বক্তব্যকে শিষ্টাচারবিহীনও অমার্জিত উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 


ওবায়দুল কাদের বলেন বাংলাদেশে সদস্য না হওয়া সত্বেও বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রসমুহের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের মনোযোগ আকর্ষন করেছে। সুদক্ষ নেতৃত্ব, অসাধারন ব্যাক্তিত্ব এবং কর্মকুশলতার উজ্জল প্রভায় বিশ্বনেতৃবৃন্দের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র পরিচালনায় তার মেধা, মনন, সততা এবং সাফল্যে এক সময়ের দরিদ্র পীড়িত অনিশ্চিত অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নিত হয়েছে। প্রধান মন্ত্রীর দূরদর্শী পদক্ষেপ ও গৃহীত নীতির কারনে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ যে সফলতা অর্জন করেছে তা নজিরবিহীন।


তিনি আরো বলেন সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অসাধারন যোগ্যতা ও দক্ষতার উজ্জল দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের সম্মানসূচক অভিব্যক্তিতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। 


মন্ত্রী আরো বলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাকরনসহ বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রসংশা করেছেন। জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি দেশের আপমর জনগনকে অনন্য মর্যাদায় অভিীষক্ত ও গর্বিত করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি নিয়ে মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য প্রদান করেছে তা শুভবোধ সম্পন্ন কোন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে জাতি আশা করে না। 


আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিশ্বাস করে ক্ষমতার উৎস দেশের জনগন জনগনই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের মুল শক্তি। প্রকৃত গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন জনগনের উপরই নির্ভর করে এবং জনমতকে ধারন করেই সুসংগঠিত হয়।  মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোলা সেলফি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা আনবে এমনটা নয়, তবে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে।  


সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো বন্ধু নেই বলে বিএনপি নেতারা এতোদিন ধরে যে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, তার যথার্থ জবাব এই সেলফিতেই প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই নয়, অন্যান্য বিশ্বনেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উষ্ণ মনোভাব নিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন। যার ছবি ও সংবাদ ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেশপ্রেমিক কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠন দেশকে বন্ধুহীন করার আকাঙ্ক্ষা লালন-পালন করতে পারে না। কিন্তু বিএনপি এই হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে কথা বলেছেন। এই ভিসানীতিকে সরকারের পক্ষ থেকেও সাধুবাদ জানানো হয়েছে। ভিসানীতি নিয়ে সরকার কখনো কোনো অস্বস্তিতে ছিল না। বরং ভিসানীতির কারণে তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপির আগুনসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির উপর একটি বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়েছে।




সেলফি নিয়ে বক্তব্যের প্রতিউত্তর দিলেন। ওবায়দুল কাদের




#জিসম্মেলন২০ #শেখহাসিনা #ওবায়দুলকাদের #মির্জাফকরুল #রাজনীতি #বাংলাদেশেরখবর #আওয়ামীলীগ #বিএনপি #jmnews


Post a Comment

Previous Post Next Post