লিগস কাপের ফাইনালে ন্যাশভিলকে ট্রাইব্রেকারে হারয়ে প্রথম স্বাদ নিল ইন্টার মায়ামি। আর এর স্বাদ এসেছে লিওনেল মেসির হাত ধরেই। অসাধারন দক্ষতায় চোখ ধাধানো একটি গোল করেন মেসি।যদি বলা হয় কোন ম্যাচের সবচেয়ে আবেগঘন মূহুর্ত কোনটি তাহলে ট্রাইব্রেকারকেই বলা হবে সবচেয়ে উত্তেজনাকর ও স্নায়ুক্ষয়ী মূহুর্ত।
আরো পড়ুন - ফুটবল জাদুকর মেসির স্পর্শে প্রথমবার ফাইনালে। মিয়ামি
মেসি আজকের ম্যাচে যে পরিমান স্নায়ু চাপে ছিলেন তার ক্যারিয়ারে তিনি এতটা স্নায়ুচাপে ভুগেছেন কিনা সন্দেহ।বিশ্বকাপ জয় করেছেন হাতে উঠেছে কোপা আমেরিকা থেকে শুরু করে ক্লাব পর্যায়ের সব ধরনের শিরোপা। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এসে ট্রাইব্রেকারের মত এতটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সামনাসামনি হবেন তা হয়তো কখনো ভাবেন নি। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচ শুরুর ২৩ মিনিটের মাথায় দলকে লীড এন দেয় বিশ্বকাপ জয়ী লিওনেল মেসি। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মায়ামি। কিন্তু বিরতির পর ৫৭ মিনিটের সময় ন্যাশভিলের হয়ে গোল করে সমতায় আনেন ফাফা পিকাউল্ট। এরপর কেউই আর গোলের দেখা পায়নি। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে খেলায় সমতা থাকায় খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে।
নির্ধারিত ৫টি করে শট নিয়েছে দু-দলই। গোল হয়েছে ৪টি করে। কিন্তু সমতা বিরাজমান থাকায় খেলা গড়ায় সাডেন ডেথ। কিন্তু কেউ কাউকে ছেড়ে দেবে না। একে একে ৬টি শট হলো সাডেন ডেথে। সব মিলিয়ে ১১ নম্বর শটে গিয়ে ব্যর্থ হয় ন্যাশভিলে। আর সফল হলো মায়ামি।১১ নম্বর শটটি নেন দু-দলের গোলরক্ষক। সেই সঙ্গে ন্যাশভিলকে ট্রাইব্রেকারে ১০-৯ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত কোন টুর্ণামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটিতে মায়ামি বল দখলে রেখেছিল ৫৯ শতাংশ আর ন্যাশভিলে বল দখলে রেখেছিল ৪১ শতাংশ। প্রতিপক্ষের টার্গেট বরাবর মায়মি শট করেছে ২ টি আর ন্যাশভিল করেছে ৬টি।
লিগস কাপের ফাইনালে গোল করার মধ্য দিয়ে টানা ৭ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড করেছেন লিও মেসি। এমন রেকর্ড টুরণামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম। মায়ামির হয়ে শেষ ৭ ম্যাচ থেকে মেসি গোল আদায় করেন ১০টি।
#মেসি #লিওনেলমেসি #কোপাআমেরিকাফাইনাল#খেলারখবর #ফুটবল #JMNEWS