ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ।

 





আজ (১২ সেপ্টেম্বর) রোজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে  ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করবেন।আজ রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: গেলাম সারোয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১১  সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর  পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর অনুপস্থিতিতে অথবা তিনি পুনরায় দায়িত্ব গ্রহন না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতির কার্যপরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেছেন।এই নিয়োগ শপথ গ্রহনের দিন থেকে কার্যকর হবে। 

আরো পড়ুন - নৌকার পক্ষে ভোট প্রচারনায়। জামালপুরের ডিসি

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস,এমএসএস,ও এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর আইনজীবি হিসেবে ১৯৮৬ সালে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। এরপর ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবি হিসাবে নথিভুক্ত হন। এরপর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচাপতি হিসাবে নিয়োগ পান ২০০৯ সালে এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত একই পদে স্থায়ী হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল - ২  এর একজন সদস্য হিসাবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন ১১টি মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।


বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৯১ সালে হংকং এ অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সিঙ্গাপুরে একটি আইন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক একটি কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে নেদারল্যান্ডস এর হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তৎকালীন যুগোস্লোভিয়ার বিচারকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন।


তিনি ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্রঃ একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ও অন্যান্য’এবং 'বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশঃ একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ নামক দু’টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।







#প্রধানবিচারপতি #ওবায়দুলহাসান #নেত্রকোনারসন্তান #jmnews


Post a Comment

Previous Post Next Post