জগৎমণির ইতিকথা
তরুন কুমার রায়
জগৎমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্ম নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে মনোরম পরিবেশে
ঐতিহ্যবাহী রাজধলা বিলপাড়ে। কত সালে কিভাবে এখানে জ্ঞান চর্চা শুরু হয়েছিল ; তার কথা ইতিহাস
বলে দিতে পারছেনা । তবে এটা সত্য ১৯১৬ সালে জগৎমণির জন্ম হয়েছিল। এই জগৎমণির পূন্য
ভুমিতে আমার ব্যক্তিগত জীবনের বাল্য, কৈশোর, যৌবন এবং বৃদ্ধ সময়ের সিংহভাগ অবস্থান করার
সৌভাগ্য হয়েছিল। কে কখন এই পূন্যভুমিতে জ্ঞানচর্চা শুরু করেছিলেন তার সঠিক তথ্য না জানা
গেলেও ১০১৬ সালের অনেক পূূর্ব থেকে এখানে টোল স্থাপিত হয়। এই টোল থেকেই অত্র এলাকার
জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি হয়। টোল স্থাপনের পূর্বে বাঢ়িতেই জ্ঞান চর্চা হতো।অথবা অনেক দূরে যেতে
হতো।এর ইতিহাস লিখতে গিয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের চেস্টা করেছি। যদি অজান্তে ভূল হয় তার
জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করবো। এ টোল পরবর্তিতে পাঠশালা নাম ধারন করে।
কালের আবর্তে পাঠশালাই পরবর্তীতে কমলা রাণী প্রাইমারী স্কুলে রুপান্তরিত হয়। কমলা রাণী প্রাইমারী
স্কুলকে কেন্দ্র করে ১৯১৬ সালে জগৎমণি উচ্চ বিদ্যালয় নামে এ প্রতিষ্ঠানের জন্ম। যাদের কেন্দ্র করে,
যাদের অনুপ্রেরনায়, সাহায্য সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় জগৎমণির জন্ম হয়েছিল সেই ব্যক্তি বা গোষ্টি
এখানে কেমন করে এসেছিল তার ইতিহাস এখানে না তুলে ধরলে জগৎমণির জন্মকথার সার্থকতা
সম্পুুর্ন হয়না।আমি পেছন থেকে জগৎমণির জন্মকথা তুলে ধরছি। আশা করছি পাঠকদের ধৈর্য্যচ্যুতি
হবে না।
রাজা প্রসন্ন চন্দ্র সিংহ এর অক্লান্ত পরিশ্রমে জগৎমনির পূর্ণতা লাভ পায়। রাজা প্রসন্ন চন্দ্র সিংহ রাজ
পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতেন। তিনি একদিন দেখলেন তার জ্ঞাতি ভাতা রাজা প্রফুল্ল সিংহরাজ
পরিবারের বংশাবলি সংরক্ষণ করার আগ্রহী। রাজা প্রসন্ন চন্দ্র সিংহ উনার সমস্ত তথ্যাবলী দিয়ে প্রফুল্ল
সিংহ মহাশয়কে উৎসাহিত করেন। প্রফুল্ল চন্দ্র সিংহ মহাশয় ওনার তত্ত্বাবধানে ৪-৫ বছর কঠোর
পরিশ্রম করে ১৯২৬ সনে বংশাবলীর এক পুস্তিকা প্রকাশ করেন। চলবে.........